Featured Image Wikimedia Commons.

ইতিহাস, সাল

তৃতীয়-সপ্তম শতাব্দী ‘ফুনান সমাজ’, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল আজকের কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চল, এবং বার্মার দক্ষিণাঞ্চল।

নবম-চতুর্দশ শতাব্দী আঙ্কর রাজ্য, যা খেমার সাম্রাজ্য নামেও পরিচিত।

১১১৩-১১৫০ খেমার সম্রাট দ্বিতীয় সূর্যবর্মনের শাসনামলে আঙ্কর ওয়াটের হিন্দু মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হল।

১১৭৭ চামদের দ্বারা লুণ্ঠিত হল খেমারদের রাজধানী আঙ্কর।

১১৮১-১২১৫ মহত্তম খেমার রাজা বলে বিবেচিত সপ্তম জয়বর্মণের রাজত্বকাল।

১২৫০-১৩৫০ হিন্দু মন্দির হিসাবে ব্যবহারোপযোগিতা হারাল আঙ্কর ওয়াট, বৌদ্ধ মন্দির হিসাবে পুনঃব্যবহৃত হতে লাগল।

১৫৫৩ থাই’রা কম্বোডিয়ায় আগ্রাসন চালালে কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের আয়ুধ্যা রাজ্যের অংশে পরিণত হয়।

সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দী থাই আর ভিয়েতনামীরা এসময় বারবার হামলা চালায় কম্বোডিয়ায়।

১৮৪৫ কম্বোডিয়ার ব্যাপারে থাই আর ভিয়েতনামীরা আপোস করতে সম্মত হলে কম্বোডিয়া দুই দেশকেই খাজনা দিতে শুরু করল।

১৮৬৩ কম্বোডিয়া ফ্রান্সের একটি প্রটেক্টরেটে পরিণত হল।

১৮৬৩-১৯৫৩ কম্বোডিয়ায় ফরাসি উপনিবেশিক শাসনের কাল।

১৮৯৩ ভিয়েতনামকে তার পার্শ্ববর্তী দেশ কম্বোডিয়া আর লাওসের অধিকাংশ অঞ্চলের সাথে জুড়ে দিয়ে ফরাসিরা ইন্দোচীন ইউনিয়ন গঠন করল। [১]

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এসময় কম্বোডিয়া দখল করে নেয় সাম্রাজ্যিক জাপান।

১৯৪১ কম্বোডিয়ার রাজা হলেন রাজকুমার নরোদম সিহানুক।

১৯৪৫ কম্বোডিয়ায় জাপানি উপনিবেশিক শাসনের অবসান।

১৯৪৬ যুদ্ধোত্তর কম্বোডিয়া পুনরায় ফ্রান্সের প্রটেক্টরেটে পরিণত হল। দেশটিতে একটি নয়া সংবিধান কম্বোডীয়দেরকে রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি দিল। ফরাসি উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নামলেন কম্বোডিয়ার কমিউনিস্ট গেরিলারা।

১৯৫৩ ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল কম্বোডিয়া, সিহানুকের অধীনে ঘোষিত হল কম্বোডিয়া রাজ্য।

১৯৫৫ সিহানুক রাজনীতিতে নামবেন বলে ঠিক করলেন। পিতার জন্য সিংহাসন ছেড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। কম্বোডিয়ায় শুরু হল তথাকথিত ‘বৌদ্ধ সমাজতন্ত্রের’ যুগ।

১৯৬০ সিহানুকের বাবার মৃত্যুতে কম্বোডিয়ার নতুন রাষ্ট্রপ্রধান সিহানুক।

১৯৬৫ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেন সিহানুক। উত্তর ভিয়েতনামী গেরিলাদেরকে কম্বোডিয়ায় ঘাঁটি গাড়ার অনুমতি দিলেন। এসব ঘাঁটি থেকে ভিয়েতনামী গেরিলারা দক্ষিণ ভিয়েতনামের মার্কিন-মদতপুষ্ট সরকারের ওপর হামলা চালাচ্ছিলেন।

১৯৬৯ যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করল কম্বোডিয়া। কম্বোডিয়ার মাটিতে সক্রিয় উত্তর ভিয়েতনামী গেরিলাদের বিরুদ্ধে এক গোপন বোমাবর্ষণ অভিযান শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৭০ এক সামরিক ক্যুদেতায় সিহানুককে ক্ষমতাচ্যুত করলেন লন নল। ঘোষণা করলেন খেমার প্রজাতন্ত্র। কম্বোডিয়ার মাটিতে সক্রিয় উত্তর ভিয়েতনামীদের বিরুদ্ধে লড়তে সেনা পাঠালেন। লন নলের খেমার প্রজাতন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের মদতপুষ্ট ছিল। এসময় সিহানুক গণ চীনে নির্বাসিত ছিলেন। তিনি একটি গেরিলা আন্দোলন গঠন করলেন। উত্তর ভিয়েতনামী বাহিনী আর কম্বোডিয়ার কমিউনিস্ট গেরিলা খেমার রুজ বাহিনীর হাতে ভূখণ্ড হারাতে শুরু করল কম্বোডীয় সেনাবাহিনী।

১৯৭৫ এপ্রিল ১৭: খেমার রুজদের হাতে রাজধানী নমপেনের পতন ঘটল। নরোদম সিহানুককে সাময়িকভাবে রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করা হল, দেশটির নাম বদলে কম্পুচিয়া রাখা হল। ‘ইয়ার জিরো’: শুরু হল খেমার রুজ ‘বিপ্লব’।

১৯৭৫-৭৯ ‘কম্বোডীয় গণহত্যা’: বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ এই গণহত্যায় খেমার রুজদের হাতে প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে। [২]

১৯৭৬ কম্পুচিয়ার নাম বদলে গণতান্ত্রিক কম্পুচিয়া রাখা হল। পদত্যাগ করলেন সিহানুক। রাষ্ট্রপ্রধান হলেন খিউ সাম্ফান, প্রধানমন্ত্রী পল পট।

১৯৭৮ গণতান্ত্রিক কম্পুচিয়ার সাথে ভিয়েতনামের সীমান্ত সংঘাতের সূচনা।

১৯৭৯ ভিয়েতনামীদের হাতে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনের পতন ঘটল। পল পটসহ অপরাপর খেমার রুজ নেতারা কম্বোডিয়া ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। আশ্রয় নিলেন দেশটির থাইল্যান্ড সীমান্তে।

ভিয়েতনামের উদ্যোগে কম্বোডিয়ায় গঠিত হল গণপ্রজাতন্ত্রী কম্পুচিয়া।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটিতে ‘ভিয়েতনামী আগ্রাসনের’ নিন্দা জানাল। খেমার রুজদের ব্যাকার চীন ভিয়েতনাম আক্রমণ করল, দু’দেশের মধ্যে ১৬ দিনের সীমান্তযুদ্ধ। ভিয়েতনামীরা এই যুদ্ধে চীনাদেরকে পিছু হঠিয়ে দেয়।

১৯৮১ কম্বোডিয়ার সংসদীয় নির্বাচনে জয়লাভ করল ভিয়েতনামপন্থী কম্পুচিয়ান পিপল’স রেভল্যুশনারি পার্টি। নবগঠিত সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। প্রবাসী কম্বোডীয় সরকার, সিহানুক ও খেমার রুজ যার অন্তর্গত, জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা অব্যাহত রাখল।

১৯৮৩ প্রকাশিত হল ডেভিড পি. চ্যান্ডলারের আ হিস্ট্রি অফ কম্বোডিয়া

১৯৮৫ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হলেন হুন সেন। দেশটিতে চলছে ব্যাপক গেরিলা যুদ্ধ। হাজার হাজার কম্বোডীয় এসময় শরণার্থীতে পরিণত হন।

প্রকাশিত হল বেন কিয়ের্নানের হাউ পল পট কেইম টু পাওয়ার:আ হিস্ট্রি অফ কমিউনিজম ইন কম্পুচিয়া, ১৯৩০-৭৫

১৯৮৬ প্রকাশিত হল এলিজাবেথ বেকারের হোয়েন দ্য ওয়ার ওয়াজ ওভার কম্বোডিয়া অ্যান্ড দ্য খেমার রুজ রেভল্যুশন। প্রকাশিত হল আরউইন সিলবারের কম্পুচিয়া: দ্য রেভল্যুশন রেসকিউড

১৯৮৯ কম্বোডিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করল ভিয়েতনাম। দেশটির নাম বদলে কম্বোডিয়া রাষ্ট্র রাখা হল। বৌদ্ধধর্মকে পুনরায় রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হল।

১৯৯১ কম্বোডিয়া সংকট নিরসনে প্যারিসে একটি শান্তি চুক্তি সই হল। কম্বোডিয়ায় ক্ষমতার জন্য লড়তে থাকা বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে ক্ষমতা ভাগ করে নিল জাতিসংঘ গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ (আনটাক)। রাষ্ট্রপ্রধান হলেন সিহানুক।

প্রকাশিত হল মাইকেল হ্যাসের কম্বোডিয়া, পল পট, অ্যান্ড দ্য ইউনাইটেড স্টেটস:দ্য ফাউস্টিয়ান প্যাক্ট

১৯৯২ প্রকাশিত হল ডেভিড পি. চ্যান্ডলারের ব্রাদার নাম্বার ওয়ান: আ পলিটিকাল বায়োগ্রাফি অফ পল পট

১৯৯৩ নরোদম সিহানুককে রাজা ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে কম্বোডিয়ায় রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হল। দেশের নাম বদলে কম্বোডিয়া রাজ্য রাখা হল। প্রবাসী কম্বোডীয় সরকার জাতিসংঘে তার আসন হারাল।

কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন। অধিকাংশ আসন জিতল রাজতন্ত্রের সমর্থক ফুনচিনপেক পার্টি। জোট সরকার গঠিত।

নবগঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন রাজকুমার নরোদম রানারিধ।

১৯৯৪ কম্বোডিয়া রাজ্যের নবগঠিত সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার পর হাজার হাজার খেমার রুজ গেরিলা আত্মসমর্পণ করল।

১৯৯৬ খেমার রুজ উপপ্রধান ইয়াং সেরি রাজা সিহানুকের ক্ষমা লাভ করলেন এবং একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলেন।

প্রকাশিত হল বেন কিয়ের্নানের দ্য পল পট রেজিম: রেস, পাওয়ার অ্যান্ড জেনোসাইড ইন কম্বোডিয়া আন্ডার দ্য খেমার রুজ, ১৯৭৫-১৯৭৯

১৯৯৭ খেমার রুজরা পল পটের বিচারের আয়োজন করল এবং তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল।

১৯৯৮ এপ্রিল: জঙ্গলে পলাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেন পল পট। [৩] জুলাই: বিতর্কিত নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসলেন হুন সেন। হুন সেনের কম্বোডিয়ান পিপল’স পার্টি আর রাজতন্ত্রের সমর্থক ফুনচিনপেক পার্টি একটি জোট সরকার গঠন করল।

১৯৯৯ অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসে (আসিয়ান) যোগ দিল কম্বোডিয়া।

প্রকাশিত হল ক্রিস্টোফার ব্র্যাডির ইউনাইটেড স্টেটস ফরেন পলিসি টুওয়ার্ডস কম্বোডিয়া, ১৯৭৭-৯২: আ কোশ্চেন অফ রিয়েলিটিজ

২০০০ নমপেনে হামলা চালাল মার্কিনভিত্তিক কম্বোডিয়ান ফ্রিডম ফাইটাররা (সিএফএফ)।

২০০১ কম্বোডীয়দের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে অভিযুক্ত খেমার রুজ নেতাদের বিচার করতে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের আইন পাশ হল। ডিসেম্বর মেকং নদীর ওপর প্রথম সেতু চালু হল। সেতুটি কম্বোডিয়ার পূর্বাঞ্চল আর পশ্চিমাঞ্চলকে যুক্ত করল।

২০০৩ আঙ্কর ওয়াট কমপ্লেক্স থাইল্যান্ড থেকে চুরি করা হয়েছে, এক থাই টিভি তারকার নামে প্রচারিত এমন একটি মন্তব্যের সূত্র ধরে, থাইল্যান্ডের সাথে গুরুতর কূটনৈতিক বিবাদে জড়িয়ে পড়ল কম্বোডিয়া।

২০০৪ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুনঃনির্বাচিত হলেন হুন সেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্যপদ লাভ করল কম্বোডিয়া। স্বাস্থ্যগত কারণে সিহানুক ক্ষমতা ছাড়লে কম্বোডিয়ার নতুন রাজা হলেন তাঁর ছেলে নরোদম সিহামনি।

প্রকাশিত হল কেন্টন ক্লাইমারের দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অ্যান্ড কম্বোডিয়া, ১৯৬৯-২০০০: আ ট্রাবলড রিলেশনশিপ

২০০৫ এপ্রিল: গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত খেমার রুজ নেতাদের বিচার করার ব্যাপারে জাতিসংঘের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেল।

স্বেচ্ছানির্বাসনে গেলেন কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির (সিএনআরপি) প্রধান স্যাম রাইনসি।

প্রকাশিত হল জন টুলির আ শর্ট হিস্ট্রি অফ কম্বোডিয়া: ফ্রম এম্পায়ার টু সার্ভাইভাল। প্রকাশিত হল ফিলিপ শর্টের পল পট: হিস্ট্রি অফ আ নাইটমেয়ার

২০০৬ জুলাই খেমার রুজ নেতাদের অন্যতম তা মকের মৃত্যু।

প্রকাশিত হল ওড আর্নে ওয়েস্টাড ও সোফি কুইন-জাজের সম্পাদনায় দ্য থার্ড ইন্দো-চায়না ওয়ার: কনফ্লিক্ট বিটউইন চায়না, ভিয়েতনাম অ্যান্ড কম্বোডিয়া, ১৯৭২-৭৯

২০০৭ জুলাই: গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত খেমার রুজ নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করল জাতিসংঘ ব্যাকড ট্রাইব্যুনাল। সেপ্টেম্বর: জীবিত খেমার রুজ সদস্যদের মধ্যে সবচে বয়স্কজন নুয়োন চিয়া গ্রেপ্তার হলেন। [৪] তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হল।

২০০৮ এপ্রিল: যুক্তরাষ্ট্রের আদালত মার্কিনভিত্তিক কম্বোডিয়ান ফ্রিডম ফাইটারদের (সিএফএফ) নেতা ছুন ইয়াসিথকে ২০০০ সালে নমপেনে হামলা চালানোর দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত করল। জুলাই: প্রেয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরকে জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্য সাইটের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার মধ্যকার বিতর্কিত ভূখণ্ডে উত্তেজনা দেখা দিল। অক্টোবর: থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার মধ্যকার বিতর্কিত ভূখণ্ডে গুলি বিনিময়ের কারণে ২ কম্বোডীয় ও ১ থাই সেনার মৃত্যু।

২০০৯ কুখ্যাত তুয়োল স্লেং কারা শিবিরের প্রধান থাকাকালে হাজার হাজার কম্বোডীয়কে হত্যা ও নির্যাতনে নেতৃত্ব দেয়ার দায়ে সাবেক খেমার রুজ নেতা কাইং গুয়েক ইয়েভের বিচার শুরু হল। [৫]

২০১০ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ‘কমরেড ডাচ’-কে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল।

প্রকাশিত হল মার্গারেট স্লোকম্বের অ্যান ইকোনমিক হিস্ট্রি অফ কম্বোডিয়া ইন দ্য টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি

২০১১ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত ‘ব্রাদার নাম্বার টু’ নুয়োন চিয়ার বিচার শুরু হল।

প্রকাশিত হল জোয়েল ব্রিংকলির কম্বোডিয়া’জ কার্স: দ্য মডার্ন হিস্ট্রি অফ আ ট্রাবলড ল্যান্ড

২০১২ ফেব্রুয়ারি: জাতিসংঘ-ব্যাকড ট্রাইব্যুনাল ডাচের আপীল খারিজ করে দিল এবং তার সাজা বাড়িয়ে বাকি জীবনের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল। জুলাই নিজেদের মধ্যকার বিতর্কিত ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করল থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। অক্টোবর: কম্বোডিয়ার সাবেক রাজা নরোদম সিহানুকের মৃত্যু।

প্রকাশিত হল ইয়ান হ্যারিসের বুদ্ধিজম ইন আ ডার্ক এজ কম্বোডিয়ান মঙ্কস: আন্ডার পল পট

২০১৩ মার্চ: গণহত্যার দায়ে বিচারের সম্মুখীন হবার অপেক্ষায় থাকাকালে বয়সজনিত কারণে মারা গেলেন খেমার রুজদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং সারি। জুন: খেমার রুজদের চালানো গণহত্যার দায় অস্বীকার করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি আইন পাশ করল কম্বোডিয়ার সংসদ। জুলাই: কম্বোডিয়ায় আয়োজিত হল সাধারণ নির্বাচন। বির্তর্কিত নির্বাচনে জিতে আবারও প্রধানমন্ত্রী হলেন হুন সেন। সেপ্টেম্বর: নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নমপেনে ব্যাপক প্রতিবাদ। বিরোধী দলীয় সদস্যরা সংসদ বয়কট করলেন।

২০১৪ আগস্ট: সাবেক খেমার রুজ নেতা নুয়োন চিয়া আর খিউ সাম্পানকে গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠাল জাতিসংঘ-ব্যাকড ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকা সফর করলেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।

২০১৫ জানুয়ারি: কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে হুন সেনের তিনদশক পূর্তি। মার্চ: জাতিসংঘ-ব্যাকড ট্রাইবুন্যাল মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে আরো ২ খেমার রুজ নেতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করল।

২০১৬ জুলাই: কেম লেই নামের এক সুপরিচিত সরকারবিরোধী ভাষ্যকারকে রাজধানী নমপেনে গুলি করে হত্যা করা হল। নভেম্বর: নুয়োন চিয়া আর খিউ সাম্পানের আপীল খারিজ করে দিয়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অব্যাহত রাখল জাতিসংঘ-ব্যাকড ট্রাইব্যুনাল। ডিসেম্বর: ফেসবুকে কম্বোডিয়া আর থাইল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি নিয়ে অযথাযথ পোস্ট করার দায়ে স্বেচ্ছানির্বাসিত বিরোধী নেতা স্যাম রাইনসিকে অনুপস্থিতিতেই ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল।

২০১৭ ফেব্রুয়ারি: কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির (সিএনআরপি) প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন স্যাম রাইনসি। মার্চ: মানবাধিকার কর্মী কেম সোখাকে কম্বোডিয়ার প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির (সিএনআরপি) প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেয়া হল। সেপ্টেম্বর: কম্বোডিয়ার সুপ্রিম কোর্ট দেশটির প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকে (সিএনআরপি) বিলুপ্ত করে দিল।

নমপেন সফর করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৮ ফেব্রুয়ারি: কম্বোডিয়াতে লেসে-ম্যাজেস্তে আইন পাশ করা হল, যা রাজার অবমাননা ঘটানো বা তাঁকে অপমান করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিধিবদ্ধ করল।

অন্ত্যটীকা

[১] ইতিহাসের পরিহাস হচ্ছে, এই তিনটি দেশেই ফরাসিরা দীর্ঘমেয়াদে মার খাবে, এবং প্রতিটি দেশেই কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করবে।

[২] কম্বোডিয়া গণহত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, দেখুন, Pheng et al. (2020).

[৩] ‘ব্রাদার নাম্বার ওয়ান’ নামে পরিচিত ছিলেন।

[৪] ‘ব্রাদার নাম্বার টু’ নামে পরিচিত ছিলেন।

[৫] ‘কমরেড ডাচ’ নামে পরিচিত।

তথ্যসূত্র

রেহমান, তারেক শামসুর। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনীতি। ঢাকা: শোভাপ্রকাশ, ২০১৯।

BBC. “Cambodia profile – Timeline.” BBC, July 20, 2018.
https://www.bbc.com/news/world-asia-pacific-13006828

Church, Peter, ed. 2009. A Short History of South-East Asia. Singapore: Wiley.

Mark, Joshua J.. “Angkor Wat.” World History Encyclopedia. Last modified February 13, 2020. https://www.worldhistory.org/Angkor_Wat/.

Pong-Rasy Pheng et al.. A History of Democratic Kampuchea (1975-1979). Phnom Pen: Documentation Centre of Cambodia, second edition 2020.

Plubins, Rodrigo Quijada. “Khmer Empire.” World History Encyclopedia. Last modified March 12, 2013. https://www.worldhistory.org/Khmer_Empire/.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । https://www.facebook.com/dibya.prakash.7
রকমারি । https://www.rokomari.com/book/227084/somoyrekha
বইবাজার । https://www.boibazar.com/book/somoyrekha
বাতিঘর । https://baatighar.com/shop/product/61547#attr=
ওয়াফিলাইফ । https://www.wafilife.com/shop/books/somoyrekha
বইয়ের দুনিয়া ।https://www.boierduniya.com/book/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE/