Featured Image: Wikipedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

পূর্বসাল

৩২০০-১৬০০ পূর্ব আরবে দিলমুন সভ্যতা।

দ্বিতীয় সহস্রাব্দ উত্তর আরবে ঘোড়ায় চালিত রথ ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘উর্বর চন্দ্রকলা’ ছেড়ে একদল যাযাবরের আরবে আগমন। সিরিয়া-ফিলিস্তিন ছেড়ে সাবাঈদের পূর্বপুরুষরা দক্ষিণ আরবে আসছেন।

২০০০-১৫০০ আরবে ভাষা এসময় প্রথম লিখিত রূপ পাচ্ছে।

১৮১২-১৬৩৭ ইব্রাহিম নবি কাবা ঘর নির্মাণ করলেন, এই কাজে তাঁকে সহায়তা করলেন পুত্র ইসমাইল।*

* মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, আরবরা ইসমাইল নবির বংশধর।

১৫০০-১০০০ এ সময়কালে কখনো উটকে পোষ মানানো হয়।

প্রথম সহস্রাব্দ পরিবহনের কাজে আরবের সর্বত্র উট ব্যবহৃত হচ্ছে।

৯০০ পূর্বসাল – ৫৪২ সাল দক্ষিন আরবে ‘সাবাঈ সভ্যতা’।

৮৫৩ এসময় থেকে প্রাপ্ত একটি কিউনিফর্মে অ্যাসিরীয় রাজা তৃতীয় শালমানেসারের কারকারের সমর’য়ের কথা বলা হল, যেখানে আরিবি শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়, যার অর্থ যাযাবর। ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত আরবরা উল্লিখিত হল। অ্যাসিরীয় শিলালিপি থেকে আরো জানা যায়, গিন্দিবু নামের এক আরব অ্যাসিরীয়দের একটি শত্রু বাহিনীকে উট সরবরাহ করেছিল।

৮০০ সাবাঈরা উর্বর চন্দ্রিকার সাথে ব্যবসা করছেন।

৭৫০ উত্তর আরবে এসময় কেদার নামে একটি গোষ্ঠীগত ফেডারেশন গড়ে উঠেছে।

৭৩০ আরবদের রানী শামসিকে পরাজিত করলেন অ্যাসিরীয়রা।

সপ্তম শতাব্দী অ্যাসিরীয়রা তাদের পুতুল রানী তাবুয়াকে কেদারের ক্ষমতায় বসালেন।

৬৭০ এসময় উত্তর আরবের ভেতর দিয়ে বর্তমান সিরিয়া জয় করতে যাচ্ছেন প্রাচীন অ্যাসিরীয় সম্রাটরা।

পঞ্চম শতাব্দী মিসরের বিরুদ্ধে নিজেদের সীমান্ত রক্ষার কাজে আরবদেরকে নিয়োগ দিলেন ইরানিরা।

৪২০ পূর্বসাল – ১০৫ সাল উত্তর আরবে ‘নাবাতীয় সভ্যতা’।

৩২৩ ম্যাকিদোনিয়ার সিকান্দার শার আরব জয় করার পরিকল্পনা থাকলেও এবছর তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটে, ফলে পরিকল্পনাটি ভেস্তে যায়।

৩১২ নাবাতীয় রাজ্য দখল করে নেয়ার একটি অসফল প্রয়াস চালালেন হেলেনীয় সেনাপতি আন্তিগোনাস।

১০০ গ্রিক ঐতিহাসিক দিওদোরাস সিকুলাস তাঁর বিবওলিওথিকা হিস্টোরিকায় একটি উপাসনালয়ের কথা বললেন। সিকুলাসের মতে, উপাসনালয়টি সকল আরবের চোখেই শ্রদ্ধেয়। অনেকে মনে করেন, তিনি কাবার কথা বলছিলেন।

৮৮ নাবাতীয়দের বিরুদ্ধে একটি অসফল যুদ্ধ পরিচালনা করলেন সেলুসীয় রাজা দ্বাদশ অ্যান্টিওকাস।

৬২ নাবাতীয় রাজ্য রুমিদের মক্কেল রাষ্ট্রে পরিণত হল।

৪০ রুমিদের বিরুদ্ধে পার্থীয়দের সাথে সাময়িক ঐক্য গড়লেন নাবাতীয়রা।

২৬ দক্ষিণ আরবের সাবাঈদের বিরুদ্ধে রুমিদের সামরিক আক্রমণে যোগ দিলেন উত্তর আরবের নাবাতীয়রা।

সাল

প্রথম শতাব্দী দক্ষিণ আরবে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠেছে হিমইয়ারিরা।

২৭-৪৪ জুদিয়ার হেরোদীয় রাজাদের সাথে নাবাতীয়দের বিক্ষিপ্ত যুদ্ধবিগ্রহ।*

* জুদিয়া প্রাচীন ইস্রাইলি গোষ্ঠীর দুটি রাজ্যের একটি।

৬৭-৭০ ফিলিস্তিনে ইহুদি বিদ্রোহ দমনে রুমিদেরকে সহায়তা করলেন নাবাতীয়রা।

দ্বিতীয় শতাব্দী পশ্চিম আরবের সামুদরা রোমক সাম্রাজ্যকে খাজনা দিচ্ছে।

১০০-২৫০ এসময় জুরহামের ইয়েমেনি গোষ্ঠীগুলো মক্কা শাসন করছে।

১০৫ ‘রোমক আরব’: নাবাতীয় রাজ্যকে রোমক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হল।

১৩২ ফিলিস্তিন থেকে আরব উপদ্বীপে অভিবাসিত হলেন ইহুদিরা।

তৃতীয় শতাব্দী আরবের লাখমি গোত্র পারসিকদের মক্কেলে পরিণত হল।

২২৪-৬৫১ সাসানীয় ইরান।

২৪১ ‘পারসিক আরব’: হাত্রানদের রাজ্যকে পারসিক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হল।

২৪৪-৪৯ রোমক সাম্রাজ্যের ইতিহাসের একমাত্র আরব শাসকের রাজত্বকাল, যিনি ফিলিপ দ্য আরব নামে পরিচিত।

২৫০-৩৮০ খুজা নামের একটি গোষ্ঠী মক্কা শাসন করছে।

২৬৭ বর্তমান সৌদি আরবের মাদাইন সালেহতে এসময় থেকে প্রথমবারের মত একটি পুরোপুরি আরবিতে লেখা শিলালিপির সন্ধান পাওয়া গেছে।

চতুর্থ শতাব্দী পূর্ব আরবে পারসিক সাম্রাজ্যের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ল।

৩১২ খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করলেন রোমক সম্রাট কনস্টান্টাইন।

৩২৮ লাখমি রাজা ইমরুল কায়েসের এপিটাফে তাঁকে সকল আরবের রাজা বলে বর্ণনা করা হল।

পঞ্চম শতাব্দী আরবি কবিতার সমৃদ্ধিকাল।

৪৯০ আরবের বনু ঘাসসান গোত্র বাইজেন্টাইনদের মক্কেলে পরিণত হল।*

* রোমক সাম্রাজ্যের ভাঙনের পর পূর্ব রোমক সাম্রাজ্য বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ((Βασιλεία Ρωμαίων) নামে পরিচিত। এখানে বাইজেন্টাইন বলতে সাম্রাজ্যটির শাসকদেরকে বোঝাবে। কুরআন শরিফে রুম বলতে এই সাম্রাজ্যকেই বোঝানো হয়েছে, যার কেন্দ্র ছিল কনস্টান্টিনোপল, বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল।

ষষ্ঠ শতাব্দী আরবে এসময় ইরানি আর বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মক্কেলদের মধ্যে ভয়াবহ আন্তঃগোত্রীয় যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে। ঘাসসানি আর লাখমিদের এলাকাগুলোয় খ্রিস্টধর্মের প্রসার ঘটছে। এসময়ই কখনো হিমইয়ারিদের রাজা ইহুদিধর্ম গ্রহণ করেন।

৫১৮ হিমইয়ারিরা নাজরানের খ্রিস্টানদের ওপর একটা হত্যালীলা চালাল।

৫২৫ ইথিওপিয়ার খ্রিস্টান রাজ্য হিমইয়ারি-সাবাঈ রাজ্য জয় করে।

৫৪২ বর্তমান ইয়েমেনে অবস্থিত মারিব বাঁধ ধবসে পড়ল।

৫৭০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম।

৫৭৫ সাসানীয় ইরান বর্তমান ইয়েমেন দখল করে নিল।

৫৮২ বাইজেন্টাইনদের মক্কেলগিরি থেকে ঘাসসানিদেরকে বরখাস্ত করা হল।

৫৯৪ লাখমিরা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হল।

৬০২ পারসিকরা তাঁদের মক্কেল লাখমি সর্দারকে খুন করলেন।

৬০৫ কাবা পুনর্নিমাণ করার বছর, অংশ নিয়েছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)।

৬১০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুয়তলাভ ও কুরআন শরিফ নাজিলের সূচনা।* ঝুকারে লাখমিদের সেনাবাহিনী পারসিকদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করল।

* হযরত মুহাম্মদের (সা.) অনুসারীরা মুসলিম নামে পরিচিত, আরবিতে এর অর্থ আত্মসমর্পণকারী; যাঁরা আল্লাহ’র কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরাই মুসলিম। বাংলায় ঐতিহাসিকভাবে মুসলমান শব্দটিই বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে, সেই ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মুসলমান শব্দটি ব্যবহার করি আমি। মুসলমানদের পবিত্র বই কুরআন শরিফ নামে পরিচিত।

৬১৪ পারসিকরা আরবের উত্তর সীমান্ত দখল করে নিল এবং বাইজেন্টাইনদেরকে পরাজিত করল।

৬১৪-২৮ সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে পারসিক দখলদারিত্বের কাল।

৬২২ মক্কা থেকে ইয়াসরিবে হিজরত করলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। ইয়াসরিব পরবর্তীতে মদিনা নামে পরিচিতি পাবে। আরবিতে মদিনা অর্থ শহর।*

* মদিনা এসেছে মদিনাতুন নবি থেকে। এর অর্থ ‘নবির শহর’। মুসলিম পঞ্জিকার, যা হিজরি সন বলে পরিচিত, গণনা এবছর থেকে শুরু হয়।

৬২৪ ‘বদরের যুদ্ধ’: মক্কার ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে আরব মুসলমানদের জয়লাভ।

৬২৫ ‘উহুদের যুদ্ধ’: আরব মুসলমানদের বিরুদ্ধে মক্কার ক্ষমতাশালীদের জয়লাভ।

৬২৭ ‘খন্দকের যুদ্ধ’। মক্কার ক্ষমতাশালীরা ইয়াসরিব ঘেরাও করার চেষ্টা চালাল। আরব মুসলমানদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হল।

‘বনু কুরাইজা ঘটনা’। ঐতিহ্যিক ঐতিহাসিকদের মতে, মদিনার ইহুদিরা আরব মুসলমানদের সাথে থাকা তাদের চুক্তি ভঙ্গ করেছিল, এবং গোপনে মক্কার ক্ষমতাশালীদের সাথে হাত মিলিয়েছিল। তাই বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তিস্বরূপ বনু কুরাইজার সব প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের শিরশ্ছেদ করা হয় এবং নারী ও শিশুদেরকে দাস হিসাবে বেচে দেয়া হয়।

বিদ্যায়তনিক ঐতিহাসিকদের কেউ কেউ এই ঘটনার ঐতিহাসিকতা ও সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। (Arafat 1976)

৬২৮ ‘হুদায়বিয়ার সন্ধি’: মক্কার ক্ষমতাশালী ও মুসলমানদের মধ্যে। মুসলমানদের খায়বার বিজয়। এই যুদ্ধ বেদুঈনদের মধ্যে মুসলমানদের জনপ্রিয়তা বাড়ায়, বহু বেদুঈন এসময় ইসলাম গ্রহণ করেন।

৬২৯ হযরত মুহাম্মদের (সা.) নেতৃত্বে মুসলমানদের মক্কা গমন ও ওমরা পালন। ‘মুত’আর যুদ্ধ’। বাইজেন্টাইনদের কাছ থেকে জর্দান নদীর পূর্বদিকের একটি গ্রাম দখল করার চেষ্টা করলেন মুসলমানরা, কিন্তু ব্যর্থ হলেন।

৬৩০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) নেতৃত্বে আরব মুসলমানদের মক্কা বিজয়। ‘হুনাইনের যুদ্ধ’: বেদুঈন হাওয়াজিন গোত্রের বিরুদ্ধে একটি নিষ্পত্তিমূলক বিজয় অর্জন করলেন আরব মুসলমানরা। তায়েফ শহর ও থাকিফ গোত্রের সাথে জোট গঠন করলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। জেরুসালেমে পবিত্র ক্রুশকাঠের অংশবিশেষ পুনর্বহাল করলেন রোমক সম্রাট হেরাক্লিয়াস।

৬৩২ ‘বিদায় হজ’। হযরত মুহাম্মদের (সা.) মৃত্যু। তাঁর কোন জীবিত পুত্রসন্তান না থাকায় ও উত্তরাধিকারী মনোনীত করে না যাওয়ায় যে নেতৃত্ব সংকট দেখা দেয়, কালক্রমে তাই শিয়া-সুন্নী বিভাজনে রূপ নেবে।*

* শিয়া-সুন্নী বিভাজনের ইতিহাস জানতে, দেখুন, (McHugo 2017) ও (Louër 2020).

৬৩২-৬১ ‘রাশিদুন খেলাফত’।*

* সুন্নিরা যেই চার খলিফাকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশিত বলে বিশ্বাস করেন, সেই রাশিদুন খেলাফতের কাল। শিয়াদের অধিকাংশ প্রথম তিন খলিফাকে অবৈধ ভাবেন, তাঁদের বিশ্বাসে সুন্নিদের চতুর্থ খলিফা আলীই একমাত্র বৈধ খলিফা। তবে জায়েদি শিয়ারা চার খলিফাকেই বৈধ ভাবেন।

৬৩২-৩৪ প্রথম রাশিদুন খলিফা আবু বকরের শাসনকাল।

৬৩২-৩৩ ‘রিদ্দা যুদ্ধ।’ হযরত মুহাম্মদের মৃত্যুর পর অনেক গোত্রাধিপতি ইসলাম ত্যাগ করতে শুরু করেন, এদের কেউ কেউ এমনকি নিজেকে নবি দাবি করে বসেন। এই মুরতাদদের (ধর্মত্যাগী) বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন খলিফা আবু বকর, সমগ্র আরব উপদ্বীপকে ইসলামের ব্যানারের পেছনে ঐক্যবদ্ধ করেন।

৬৩২ ‘ইয়ামামার যুদ্ধ’। এই যুদ্ধে নিহত হন মুসাইলামা। মুসলমানরা তাঁকে ভণ্ড নবি হিসাবে দেখেন এবং আল-কাজ্জাব (মিথ্যুক) উপাধিতে ভূষিত করেন। (Khan 2020b)

৬৩৪ ‘আজনাদাইনের যুদ্ধ’। এটি ছিল রাশিদুন খেলাফতের জন্য একটি নিষ্পত্তিমূলক বিজয়। আরব মুসলমানদের দামিশক জয়।

৬৩৪-৪৪ দ্বিতীয় রাশিদুন খলিফা উমর ইবনে আল-খাত্তাবের শাসনকাল।

৬৩৫ ‘ফাহলের যুদ্ধ’: রাশিদুন খেলাফতের বাহিনী বাইজেন্টাইনদের ফিলিস্তিন গ্যারিসনকে পরাজিত করল।

৬৩৬ আগস্ট: ‘ইয়ারমুকের যুদ্ধ’: রাশিদুন খেলাফতের হাতে বাইজেন্টাইনরা পরাস্ত হলেন।

৬৩৭ রাশিদুন খেলাফতের লেভান্ত* জয়, অঞ্চলটি থেকে বাইজেন্টাইনদেরকে বের করে দেয়া হল।

* সেকালের এশিয়া মাইনর আর ফিনিশিয়া নিয়ে গঠিত। বর্তমান তুরস্ক, সিরিয়া, আর লেবানন অঞ্চলটির অন্তর্গত। বৃহত্তর অর্থে গ্রিস আর মিসরের মধ্যবর্তী পুরো অঞ্চলটাকেই লেভান্ত বলা যেতে পারে।

৬৩৮ ‘কাদিসিয়ার যুদ্ধ’: রাশিদুন খেলাফতের জেরুসালেম জয়।

৬৪০-৪২ রাশিদুন খেলাফতের মিসর জয়।

৬৪০ রাশিদুন খেলাফতের সেলুসিয়া-তেসিফন জয়। আর্মেনিয়ার তৎকালীন রাজধানী দভিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হল। সিরিয়ার প্রশাসক নিযুক্ত হলেন মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান।

৬৪১ রাশিদুন খেলাফতের সিজারিয়া জয়।

৬৪২ রাশিদুন খেলাফতের আলেকজান্দ্রিয়া জয়। ‘নেহাওয়ান্দের যুদ্ধ’: রাশিদুন খেলাফতের হাতে পরাজিত হল সাসানীয় বাহিনী।

৬৪৩ আর্মেনিয়া ও ককেশাসে একটি অসফল অভিযান পরিচালনা করল রাশিদুন খেলাফত।

৬৪৪-৫৬ তৃতীয় রাশিদুন খলিফা উসমান ইবনে আফফানের শাসনকাল।

৬৪৬ সাময়িকভাবে আলেকজান্দ্রিয়া পুনর্দখল করল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য।

৬৪৯-৫০ রাশিদুন খেলাফত সাইপ্রাস ও আরওয়াদ অভিযান।

৬৫০-৫৩ রাশিদুন খেলাফতের সাথে সন্ধি করল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য।

৬৫০ খলিফা উসমানের উদ্যোগে কুরআন শরিফের একটি মান সংস্করণ প্রস্তুত করা হল। এটি আল-মুশহাফ আল-উসমানি নামে পরিচিত। বাকি সব সংস্করণ ধ্বংস করে ফেলা হল।

নুবিয়ায় একটা ব্যর্থ অভিযান চালাল রাশিদুন খেলাফত।

৬৫১ রাশিদুন খেলাফতের মেসোপটেমিয়া জয়।*

* ‘দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান’। মেসোপটেমিয়া বর্তমান ইরাক ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর গ্রিকদের দেয়া নাম। দুই নদী হল দজলা ও ফোরাত।

রাশিদুন খেলাফতের হাতে সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতন। রাশিদুন খেলাফতের ইরান জয়। শেষ সাসানীয় সম্রাট তৃতীয় ইয়াজদিগার্দের মৃত্যু।

৬৫২-৫৩ রাশিদুন খেলাফতের করদ রাজ্যে পরিণত হল আর্মেনিয়া।

৬৫৪ রাশিদুন খেলাফতের ক্রীট, কস, ও রোডস জয়।

৬৫৪-৫৫ কন্সটান্টিনোপলের বিরুদ্ধে রাশিদুন খেলাফতের প্রথম বৃহদায়তন অভিযান, ‘মাস্তুলের যুদ্ধ’।

৬৫৬ একদল বিদ্রোহীর হাতে খুন হলেন খলিফা উসমান।

৬৫৬-৬১ চতুর্থ খলিফা ও শিয়াদের প্রথম ইমাম আলি ইবনে আবু তালেবের শাসনকাল। ‘প্রথম ফিতনা’ আরবিতে ফিতনাত মাকতাল উসমান বলে পরিচিত। খলিফা উসমান হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেখা দেয়।

৬৫৯ বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে শান্তিচুক্তি সই করল রাশিদুন খেলাফত।

৬৬১ মুসাইলামার স্ত্রী সাজাহ বিনতে আল-হারিস ইবনে সুয়াদের মৃত্যু, রিদ্দা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনিই একমাত্র মহিলা যিনি নিজেকে নবি বলে দাবি করেছিলেন।

৬৬১-৭৫০ ‘উমাইয়া খেলাফত’।*

* এই খেলাফতের কেন্দ্র ছিল বর্তমান সিরিয়ার দামিশক।

৬৬১ সুন্নী ইসলামের পঞ্চম ও উমাইয়া খেলাফতের প্রথম খলিফা হলেন মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান, ‘প্রথম মুয়াবিয়া’ হিসাবে পরিচিত।

৬৬৪ খলিফা প্রথম মুয়াবিয়ার প্রতি আনুগত্য ব্যক্ত করলেন আলবানিয়ার রাজকুমার জুয়ানশের।

৬৬৮-৭০ কন্সটান্টিনোপোলের বিরুদ্ধে উমাইয়া খেলাফতের অভিযান।

৬৭০ কায়রাওয়ান প্রতিষ্ঠা, মার্ভে ঘাঁটি গাড়লো উমাইয়া সেনাবাহিনী।

৬৭০এর দশক উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে লেবাননের পাহাড়গুলোতে গড়ে উঠল মারদাইতেস গেরিলা আন্দোলন।

৬৭৩ লিসিয়ায় আরবদের নৌ অভিযাত্রা, উমাইয়া খলিফা প্রথম মুয়াবিয়া আর বাইজেন্টাইন সম্রাট চতুর্থ কন্সটান্টাইনের মধ্যে সন্ধি।

৬৭৪ আরবরা প্রথমবারের মত আমু দরিয়া পার হল।

৬৮০-৮৫/৬৮৩-৯২ ‘দ্বিতীয় ফিতনা’: খলিফা প্রথম মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর, মতান্তরে তাঁর পুত্র খলিফা প্রথম ইয়াজিদের মৃত্যুর পর, দেখা দেয়া রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা। আস্কেলন ও সিজারিয়ায় অভিযান চালাল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য।

৬৮০র দশক উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে উত্তর আফ্রিকার কুসায়লা বিদ্রোহ।

৬৮০ মার্চ: বিষপ্রয়োগে নিহত হলেন শিয়া ইসলামের দ্বিতীয় ইমাম হাসান ইবনে আলি। অক্টোবর: কারবালার যুদ্ধে শহিদ হলেন শিয়া ইসলামের তৃতীয় ইমাম হোসেন ইবনে আলি।

৬৮১-৯২ উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন ইবনে জুবায়ের। বিদ্রোহের কেন্দ্র মক্কা। কঠোরহস্তে বিদ্রোহ দমন করলেন হাজ্জাজ বিন ইউসূফ।

৬৯২ বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে উমাইয়া খেলাফতের শান্তিচুক্তির অবসান। ‘সেবাস্তোপোলিসের যুদ্ধ’।

৬৯৭ উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো বার্বার রানীর মৃত্যু। তাঁর আরব প্রতিপক্ষ তাঁর নাম দিয়েছিল আল-কাহিনা। অর্থ দিব্যদর্শী।

৬৯৮ উমাইয়া খেলাফতের কার্থেজ জয়।

৭০৩ ভার্ডানেকার্টে আরব গ্যারিসন একটি আরমানি সেনাবাহিনীর কাছে হারল।

৭০৬ উমাইয়া খেলাফতের পায়কান্দ জয়, আরমানি অভিজাতদের হত্যা করা হল।

৭০৮ উমাইয়া খেলাফতের তানজিয়ার্স জয়।

৭০৯ উমাইয়া খেলাফতের বোখারা জয়।

৭১০ উমাইয়া খেলাফতের সিন্ধ জয়।

৭১১-১৪ উমাইয়াদের আল-আন্দালুস অভিযান।*

* স্পেন ও পর্তুগালের মুসলমান রাজ্যগুলোকে আল-আন্দালুস বলে।

৭১২ উমাইয়া খেলাফতের সমরখন্দ জয়।

৭১৭-১৮ কন্সটান্টিনোপল ঘেরাও করল উমাইয়া খেলাফত, কিন্তু দখল করতে ব্যর্থ হল।

৭২৮-৩০ আমু দরিয়া আর সির দরিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে বড় ধরণের বিদ্রোহ দেখা দিল।

৭৩২ ‘পয়তিয়ের্সের/তুর্সের সমর’, ফ্রান্সে শার্ল মার্টেলের হাতে উমাইয়া সেনাবাহিনীর পরাজয়; ব্যর্থ হয়ে গেল আরবদের ইওরোপ জয়ের প্রচেষ্টা।

৭৪০ আনাতোলিয়ায় উমাইয়া বাহিনী বাইজেন্টাইন বাহিনীর কাছে হারল।

৭৪০-৪২ উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে উত্তর আফ্রিকায় বার্বার বিদ্রোহ।

৭৫০-১২৫৮ ‘আব্বাসীয় খেলাফত’।*

* এই খেলাফতের কেন্দ্র ছিল বর্তমান ইরাকের বাগদাদ।

৭৬৭-৮২০ সুন্নীদের চার মাজহাবের একটির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস শফির সময়, যাঁর বিদ্যাশিক্ষা মক্কায়।

৭৬৮ সীরাত রাসূল উল্লাহ‘য়ের রচয়িতা ইবনে ইসহাকের মৃত্যু।*

* সীরাত ইসলামের ইতিহাসের আদিপর্বের প্রাথমিক উৎস বলে বিবেচিত। এসময় সম্পর্কে পরবর্তীতে যারাই ইতিহাস লিখেছেন, সবাইকেই সীরাত’য়ের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। ঐতিহ্যিক ঐতিহাসিকদের প্রধান উৎস ইবনে ইসহাকের সীরাত।

৭৮৬ মক্কায় শিয়া বিদ্রোহ।

৮৪৮-৫৫ সুন্নীদের চার মাজহাবের একটির প্রতিষ্ঠাতা ইবনে হাম্বলের সক্রিয়তার কাল, তিনি মক্কাতেই মৃত্যুবরণ করেন।

৮৬৫ প্রকাশিত হল আল-আজরাকির আখবার মাক্কাহ, যা শহরটির প্রথম ইতিহাস বলে বিবেচিত হয়।

৯২৩ ইসলামের ইতিহাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক আল-তাবারির মৃত্যু।

৯৩০ কারমাতীয়রা মক্কায় ঢুকে অসংখ্য হাজীকে হত্যা করে। ব্যাপক লুঠতরাজ চালায়। কাবা ঘরের পবিত্র পাথরটিও চুরি করে তারা।

৯৫০-৫১ কারমাতীয়রা চুরিকৃত পবিত্র পাথরটি মক্কাকে ফিরিয়ে দেয়।

৯৬০ মক্কার স্থানীয় শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেন শরিফরা।

১১৮১-৮৩ ফরাসি নাইট রেনঁ দ্য শাতিলীয় মক্কাকে হুমকি দিলেন। রেনঁ’র বাহিনী সমগ্র হিজাজ অঞ্চলে লুঠতরাজ চালাল। ফ্রাঙ্কদেরকে অঞ্চলটি থেকে বিতাড়িত করা হল।

১২০২ প্রকাশিত হল ইবনে আরাবির দ্য মেক্কান রেভল্যুশনস।

১২৬০-১৫১৭ মক্কার মিসর-সিরিয়ার মামলুক সুলতানশাহির অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।

১২৬৯ হজ পালন করলেন মিসরের মামলুক সুলতান বাইবার্স।

১৩২৫-৫৪ পরিব্রাজক ইবনে বতুতা এই সময়কালের মধ্যে পাঁচবার মক্কা সফর করেন, অবশ্য এই সফর তাঁর বিশ্বভ্রমণের অংশ ছিল।

১৩২৫ হজ পালন করলেন মালির সম্রাট মানসা মূসা।

১৫১৭ হিজাজের ওপর ওসমানি সুলতানশাহির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হল।

১৫৩৩ প্রকাশিত হল মুহিউদ্দিন লারির কিতাব ফুতুহ আল-হারামাইন।*

* লারি চিত্রকর ছিলেন, বইটি মক্কার প্রথম চিত্রকর্ম-সংকলন।

১৫৫০ হাসার ওপর ওসমানি সুলতানশাহির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হল।

১৫৫১ কাবা ঘরের ছাদ পুনর্নিমাণ করালেন সুলতান সোলেমান।

১৬২৯ বন্যার কারণে কাবা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পুনর্নিমাণ করালেন সুলতান চতুর্থ মুরাদ।

১৬৭০ হাসায় ওসমানিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল বনু খালিদ।

১৬৭১ হজ পালন করলেন ওসমানি পরিব্রাজক এভলিয়া চেলেবি।

১৭০৩ ওহাবিবাদের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবের জন্ম।*

* ওহাবিবাদ ইসলামের একটি শুদ্ধতাকামী ধারা, যারা মুসলমানদের ঐতিহ্যিক চর্চাগুলো বর্জন করে কথিত ‘শুদ্ধ ইসলামে’ ফিরে যাওয়ার পক্ষপাতী।

১৭২০ দিরিয়ায় প্রথম সৌদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হল।

১৭৪৭ নজদের শাসক মোহাম্মদ ইবনে সৌদের সাথে একটি ধর্মীয়-রাজনৈতিক মৈত্রীবন্ধন তৈরি করলেন ওহাবিবাদের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব।

১৭৯০ ওহাবিদের সাথে মক্কার শরিফদের দ্বন্দ্ব দেখা দিল। নজদের ওপর সৌদিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হল।

১৭৯১ মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবের মৃত্যু।

১৮০২ সৌদিরা দক্ষিণ ইরাকের কারবালা শহর লুঠ করল।

১৮০৫-৬ মক্কা ঘেরাও করল ওহাবিরা, আত্মসমর্পণ করল মক্কা।

১৮১৫ মিসরের মোহাম্মদ আলির বাহিনী ওহাবিদেরকে পরাজিত করল।

১৮১৮ মিসরীয়রা দিরিয়ার সৌদি রাষ্ট্র ধবংস করে দিল।

১৮২৪ সৌদিরা রিয়াদ দখল করে নিল এবং দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্র গঠন করল।

১৮৩৮ মোহাম্মদ আলি রিয়াদ দখল করলেন।

১৮৪৩ রিয়াদে সৌদি রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেন ফয়সাল বিন তুর্কি।

১৮৪৭-৯৭ সৌদ রাজপরিবারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিদি রাজপরিবার এই অর্ধ শতাব্দী মধ্য আরব শাসন করেছে।

১৮৫৪-৫৬ ওসমানিরা তাদের সালতানাতে দাসপ্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করল, এর প্রতিক্রিয়ায় মক্কায় দাঙ্গাহাঙ্গামা দেখা দিল।

১৮৬৪ হজ পালন করলেন ভোপালের নবাব সিকান্দার বেগম।

১৮৮০ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের জন্ম।

১৮৯১ রাশিদি রাজপরিবার রিয়াদ দখল করে নিল। সৌদ রাজপরিবার রিয়াদ থেকে পালিয়ে গিয়ে কুয়েতে আশ্রয় নিল।

১৯০২ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ রিয়াদ জয় করে তৃতীয় সৌদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেন।

১৯০৬ রাশিদি রাজপরিবারের প্রধান ইবনে রাশিদের মৃত্যুতে সৌদ রাজপরিবারের উত্থানের পথে আর কোনো শক্তিশালী বাধা থাকল না।

১৯০৮ দামিশক আর মদীনাকে যুক্ত করা হিজাজ রেলপথের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হল।

১৯০৮-২৪ মক্কার শরিফ হলেন হুসাইন ইবনে আলী, ১৯১৭ সালে নিজেকে হিজাজের রাজা ঘোষণা করেন।

১৯১২ ওহাবি মতবাদের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হল ইখওয়ান ব্রাদারহুড, এরা ইবনে সৌদকে বিশেষ মদত যোগায়।

১৯২১-২৫ নজদ ও হিজাজ জয় করলেন ইবনে সৌদ।

১৯২৪ ইবনে সৌদের মক্কা বিজয়। তুরস্কে আতাতুর্ক খেলাফত বিলুপ্ত করে দিলেন। মক্কার শরিফ হোসেন নিজেকে খলিফা দাবি করলেন।

১৯২৬ ইবনে সৌদ নিজেকে হিজাজের রাজা ঘোষণা করলেন।

১৯২৭ ইবনে সৌদের রাজত্বকে স্বীকৃতি দিল গ্রেট ব্রিটেন।

১৯২৮-৩০ ইবনে সৌদ অঞ্চলটির আধুনিকীকরণের উদ্যোগ হাতে নিলেন। এতে তাঁর সাবেক সমর্থক ইখওয়ানিরা তাঁর বিরোধীতে পরিণত হল, বিদ্রোহ করে বসল। শক্ত হাতে ইখওয়ানি বিদ্রোহ দমন করলেন ইবনে সৌদ।

১৯৩০-এর দশক স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির মত কিছু মার্কিন তেল কোম্পানির ভূগোলবিদরা বর্তমান সৌদি আরবের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বিপুল তেল আবিষ্কার করলেন। মার্কিন-সৌদি সুসম্পর্কের সূচনা। সৌদিদের কাছ থেকে অবিরত তেল পায় মার্কিনীরা, বিনিময়ে সৌদিরা দুনিয়ার সবচে শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের সমর্থন পায়।

১৯৩২ সৌদি আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলেন ইবনে সৌদ, যিনি রাজা আবদুল আজিজ নামেও পরিচিত।

১৯৩২-৩৪ সৌদি-ইয়েমেন যুদ্ধ, ইঙ্গ-ফরাসি-ইতালীয় চাপের কারণে শেষ হল।

১৯৩৮ দাহরানের আদ দাম্মামে তেল আবিষ্কৃত হল। পরবর্তীতে যা আরামকো নামে পরিচিত হবে, সেই কোম্পানি তেল উৎপাদন শুরু করল। সৌদি-মার্কিন সুসম্পর্কের শুরু।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সৌদি আরব নিরপেক্ষতা ঘোষণা করে। যুদ্ধের শেষদিকে এসে ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার উদ্দেশ্যে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সৌদি আরব। ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ও ইবনে সৌদের মধ্যে সাক্ষাৎকার।

১৯৪৭-৪৮ প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, সৌদি অংশগ্রহণ সামান্যই ছিল।

১৯৫১ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি করল সৌদি আরব।

১৯৫৩ ইবনে সৌদ, বা রাজা আবদুল আজিজের, মৃত্যু। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন পুত্র সৌদ বিন আবদুল আজিজ। সৌদি আরামকোর শ্রমিকরা প্রথম প্রতিবাদ আয়োজন করলেন।

১৯৫৫ ওমান ও আবু ধাবির সীমান্ত অঞ্চল আল-বুরিয়ামি থেকে সৌদিদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হল।

১৯৫৬ দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে আরামকো শ্রমিকদের বিক্ষোভ।

১৯৫৭ রিয়াদে রাজা সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হল।

১৯৬০ সৌদি আরব অন্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সাথে মিলে গঠন করল অর্গানাইজেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)।

১৯৬২ সৌদি আরবে দাসপ্রথা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত করা হল।

১৯৬৪ সৌদি আরবের নতুন রাজা হলেন পূর্বতন রাজা সৌদের ভাই ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ। হজ পালন করলেন ম্যালকম এক্স।

১৯৬৭ দেশটির প্রথম বাঁধাইকৃত সড়কের (জেদ্দা-রিয়াদ) নির্মাণকাজ সমাপ্ত। জুন যুদ্ধ বা তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।

১৯৭০ প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।

১৯৭২ আরামকোর ২০ শতাংশ শেয়ার লাভ করল সৌদি আরব, এতে মার্কিনীদের ওপর তাদের নির্ভরতা হ্রাস পেল।

১৯৭৩ ইয়োপ কিপ্পুর যুদ্ধ বা চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। এই যুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলকে সমর্থন দেয়। এতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে অর্গানাইজেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) তেল অবরোধ দিলে তেলের দাম চার গুন বেড়ে যায়।

১৯৭৪ জেদ্দার রাজা আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌদি স্থপতি সামি আনগাওয়ি কর্তৃক দ্য হজ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হল।

১৯৭৫ রাজা ফয়সাল আততায়ীদের হাতে খুন হলেন। নতুন রাজা হলেন খালেদ বিন আবদুল আজিজ। মিনার হজ ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ২০০ হাজীর মৃত্যু।

১৯৭৮ সৌদি আরবের শীর্ষ আলেমদের কাউন্সিল একটি ফতোয়া দেয়, যা দেশটির বর্জ্যপানির পুনঃব্যবহার প্রক্রিয়া চালু করাকে বৈধতা দেয়।

১৯৭৯ মিসরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল সৌদি আরব। নভেম্বর-ডিসেম্বর জনৈক জুহাইমান আল-ওতায়বির অনুসারীরা মক্কার পবিত্র মসজিদ দুই সপ্তাহ ধরে ঘেরাও করে রাখল। ফ্রান্সের সহায়তায় বিদ্রোহ দমন করে সৌদি আরব, বিদ্রোহীদের নেতা আল-ওতায়বি ও তার ৬৭ জন অনুসারীর শিরশ্ছেদ করে।

১৯৮০-র দশক এই দশক থেকে ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলোতে নতুন তেল আবিষ্কার হওয়ার ফলে আন্তর্জাতিকভাবে তেলের দামের ওপর একক নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে সৌদি আরব। আধুনিকায়ন ও রাজপরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাপনের খরচা মেটাতে হয় বলে বিশ্বে তেলের দর পড়ে গেলে তা সৌদি অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিপুল তেল সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও বহু আন্তর্জাতিক ব্যাংকের কাছে ঋণগ্রস্ত সৌদ পরিবার।

১৯৭৯-৮০ সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে শিয়া বিদ্রোহ।

১৯৮০ পানি দূষণ রুখতে একটি রাজকীয় ডিক্রি জারি। মার্কিনীদের কাছ থেকে আরামকোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিল সৌদি আরব।

১৯৮১ সৌদি আরবের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হল গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)।

১৯৮২ হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেলেন রাজা খালেদ, সৌদি আরবের নতুন রাজা  ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ।

১৯৮৪ প্রকাশিত হল আবদুলরহমান মুনিফের সিটিজ অফ সল্ট

১৯৮৬ রাজা ফাহাদ ‘কাস্টোডিয়ান অফ দ্য টু হোলি মস্কস’ (মক্কার মসজিদুল হারাম আর মদিনার মসজিদে নববী) উপাধি নিলেন।

১৯৮৭ মিসরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করল সৌদি আরব। ইরানি হাজিদের সাথে সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনীর ভয়াবহ সংঘাত। ৪০২ জন হাজীর মৃত্যু।

১৯৯০ ইরাকের কুয়েত আগ্রাসনের নিন্দা জানাল সৌদি আরব। মার্কিন হস্তক্ষেপ কামনা করল। মিনার সাথে মক্কার মসজিদুল হারামকে সংযুক্ত করা টানেলে ১৪২৬ জন হাজীর মৃত্যু।

১৯৯১ পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধ।

১৯৯২ মৌলিক শাসনব্যবস্থা গৃহীত। সৌদি আরবে রাজার দায়দায়িত্বকে সুনির্দিষ্ট করা হল। রাজা ফাহাদ একটি মজলিসে শূরা প্রতিষ্ঠা করলেন।

১৯৯৩ সৌদি আরবকে ১৩টি প্রশাসনিক অঞ্চলে ভাগ করার জন্য ডিক্রি জারি করলেন রাজা ফাহাদ। রিয়াদে প্রতিষ্ঠিত হল দ্য কমিটি ফর দ্য ডিফেন্স অফ লেইজিটিমেট রাইটস ইন সৌদি অ্যারাবিয়া (সিডিএলআর)।

১৯৯৪ সৌদি আরবে সরকারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘বুরাইদা অভ্যুত্থান’। ওসামা বিন লাদেনের সৌদি নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হল।

১৯৯৬ সৌদি আরবে এক সামরিক ঘাঁটিতে বোমা হামলায় ১৯ জন মার্কিনীর মৃত্যু।

১৯৯৭ সৌদি আরব মাইনিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করা হল। মিনায় এক অগ্নিকাণ্ডে ৩৪৩ জন হাজীর মৃত্যু।

২০০০ সৌদি আরবের রাজা ১৮ জন রাজপুত্রকে নিয়ে একটি পারিবারিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করলেন, যার কাজ হবে ভবিষ্যৎ রাজা নির্বাচিত করা, ও রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা। ইউনেস্কো এ-বছর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদকে ‘আরব বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী’ বলে স্বীকৃতি দেয়।

২০০১ ৯/১১-র সন্ত্রাসবাদী হামলা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার অজুহাতে আফগানিস্তান আক্রমণ করলেও ১৯ জন হামলাকারীর মধ্যে ১৫ জন সৌদি নাগরিক ছিলেন। সৌদি নারীরা প্রথমবারের মত পরিচয়পত্র পেলেন।

২০০২ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের সাথে সাক্ষাৎ করলেন যুবরাজ আবদুল্লাহ।

প্রকাশিত হল মাদাওয়ি আল-রাশিদের আ হিস্ট্রি অফ সৌদি অ্যারাবিয়া

২০০৩ রিয়াদে এক গুচ্ছ বোমা হামলায় ৯০ জন নিহত ও ১৬০ জন আহত। গণতন্ত্রের দাবিতে মিছিল করেন ৩০০ সৌদি বুদ্ধিজীবী। রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে রিয়াদে নজিরবিহীন সমাবেশ ঘটে, সৌদি পুলিশ সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেয়।

২০০৪ হজ পালনের সময় জামারায় পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলিত হয়ে ২৫১ জন হাজির মৃত্যু। জেদ্দায় মার্কিন দূতাবাসে আল কায়েদার হামলা। ইয়ানবু পেট্রোরাসায়নিক কেন্দ্র আর খোবার তেল কোম্পানিও আক্রমণের শিকার হয়।

২০০৫ রাজা ফাহাদের মৃত্যুতে সৌদি আরবের নতুন রাজা হলেন আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। ১৯৬০-এর দশকের পর এ-বছরই প্রথম দেশটিতে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যাকে অনেক পর্যবেক্ষকই গণতন্ত্রের আলামত হিশাবে দেখেছিলেন। তবে নারীদেরকে ভোট দিতে দেয়া হয় নি।

দীর্ঘ বারো বছরের প্রচেষ্টার পর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্যপদ লাভ করল সৌদি আরব।

প্রকাশিত হল জন আর. ব্র্যাডলির সৌদি অ্যারাবিয়া এক্সপোজড: ইনসাইড আ কিংডম ইন ক্রাইসিস

২০০৬ হজ পালনের সময় জামারায় পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলিত হয়ে ৩৪৫ জন হাজির মৃত্যু। গঠিত হল ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইটস। সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খুন হলেন ছয় আল কায়েদা সদস্য।

প্রকাশিত হল রাচেল ব্রনসনের থিকার দ্যান অয়েল: আমেরিকা’জ আনইজি পার্টনারশিপ উইথ সৌদি অ্যারাবিয়া

২০০৭ সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লাহ ভ্যাটিকান সফর করলেন।

২০০৮ সৌদি আরব আর কাতারের সীমানা চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হল। মক্কার ইতিহাসের প্রথম আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হল।

২০০৯ সৌদি আরবের মন্ত্রীসভায় প্রথমবারের মত একজন নারী যোগদান করলেন। নোরা বিনতে আবদুল্লাহ আল ফায়েদ। ২০১৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সৌদি আরব সফর।

প্রকাশিত হল মনিরা আল-ঘাদিরের ডেজার্ট ভয়েসেস: বেদুঈন উইমেন’স পোয়েট্রি ইন সৌদি অ্যারাবিয়া

২০১০ প্রকাশিত হল আল মাকিনের রিপ্রেজেন্টিং দ্য এনিমি: মুসাইলামা ইন মুসলিম লিটারেচার। প্রকাশিত হল টবি ক্রেইগ জোনসের ডেজার্ট কিংডম: হাউ অয়েল অ্যান্ড ওয়াটার ফোর্জড মডার্ন সৌদি অ্যারাবিয়া

২০১১ মধ্যপ্রাচ্যে ‘আরব বসন্ত’। সৌদি আরবে এর প্রভাব ঠেকাতে কল্যানমূলক ব্যয় বাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজা আবদুল্লাহ। সৌদি সহায়তায় শিয়া বিদ্রোহ দমন করল বাহরাইন।

প্রকাশিত হল অ্যান্ড্রু স্কট কুপারের দ্য অয়েল কিংস: হাউ দ্য ইউ.এস., ইরান, অ্যান্ড সৌদি অ্যারাবিয়া চেঞ্জড দ্য ব্যালেন্স অফ পাওয়ার ইন দ্য মিডল ইস্ট

২০১২ সৌদি আরব প্রথমবারের মত দেশটির নারী অ্যাথলেটদেরকে অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়ার অনুমতি দিল।

২০১৩ প্রকাশিত হল টবি ম্যাথিয়েসেনের সেক্টারিয়ান গালফ: বাহরাইন, সৌদি অ্যারাবিয়া, অ্যান্ড দ্য আরব স্প্রিং দ্যাট ওয়াজন’ন্ট। প্রকাশিত হল মাদাওয়ি আল-রাশিদের আ মোস্ট মাসকুলিন স্টেট: জেন্ডার, পলিটিকস, অ্যান্ড রিলিজিয়ন ইন সৌদি অ্যারাবিয়া। প্রকাশিত হল ক্রিস্টোফার এম. ডেভিডসনের আফটার দ্য শেখস: দ্য কামিং কলাপস অফ দ্য গালফ মোনার্কিজ

২০১৫ রাজা আবদুল্লাহের মৃত্যুতে সৌদি আরবের নতুন রাজা হলেন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। ইয়েমেন হুদি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানো শুরু করল সৌদি আরব। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে শিয়া মসজিদে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫ জন মানুষের মৃত্যু।

প্রকাশিত হল লিসা উরকেভিচের মিউজিক অ্যান্ড ট্র্যাডিশনস অফ দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা: সৌদি অ্যারাবিয়া, কুয়েত, বাহরাইন, অ্যান্ড কাতার

২০১৬ সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের শিয়া ধর্মযাজক আয়াতুল্লাহ শেখ নিমর বকির আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। তেহরানে উত্তেজিত জনতা সৌদি দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দিল। ইরাক আর লেবাননেও ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা দিল। ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল সৌদি আরব। তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার একটি পরিকল্পনার অনুমোদন দিল দেয়া হল। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হল, সৌদি-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী ইয়েমেনে কয়েকশ শিশুকে খুন ও জখম করেছে।

২০১৭ কাতারের সাথে সৌদি আরব ও মিত্র আরব দেশগুলোর একটি কূটনৈতিক সংকট দেখা দিল। নারীদের গাড়িচালনার ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেয়া হল। মসনদের উত্তরসূরী ঘোষিত হলেন মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি সংক্ষেপে এমবিএস হিশাবে অভিহিত হন।

২০১৮ প্রায় চার দশক ধরে বন্ধ থাকার পর সৌদি আরবে প্রকাশ্যে সিনেমা প্রদর্শনী শুরু হল।  ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে খুন হলেন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে এমবিএস-এর যোগসূত্র আছে বলে মনে করা হয়।

প্রকাশিত হল জন ম্যাকহুগোর আ কনসাইজ হিস্ট্রি অফ সুন্নীজ অ্যান্ড শিয়াজ

২০১৯ ইয়েমেনের হুদি বিদ্রোহীদের হামলায় সৌদি আরবের দুটি তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হল। সৌদি আরব ও তার পশ্চিমা মিত্ররা (ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) হামলার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করল।

২০২০ সেপ্টেম্বর: সৌদি আরবে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার ডাক দিয়ে গঠিত হল ন্যাশনাল এসেম্বলি পার্টি (নাস)।

২০২১ প্রকাশিত হল ক্রিস্টোফার এম. ডেভিডসনের ফ্রম শেখস টু সুলতানিজম: স্টেটক্রাফট অ্যান্ড অথরিটি ইন সৌদি অ্যারাবিয়া অ্যান্ড ইউএই

২০২৩ মার্চ: চীনের মধ্যস্ততায় সৌদি-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতি। প্রক্রিয়াটি চলমান আছে। সফল হলে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নজিরবিহীন পরিবর্তন আসবে।

এক বাস দুর্ঘটনায় ২২ জন ওমরা পালনকারীর মৃত্যু, এঁদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি।

তথ্যসূত্র

Al-Rasheed, Madawi. 2010. A History of Saudi Arabia. 2nd ed. Cambridge: Cambridge University Press.

Arafat, W. N. 1976. “New Light on the Story of Banū Qurayẓa and the Jews of Medina.” Journal of the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland, no. 2: 100–107. http://www.jstor.org/stable/25203706.

BBC. 2023. “Saudi Arabia Profile – Timeline.” BBC, October 4, 2019.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14703523

bdnews24.com. 2023. “Eight Bangladeshis among 22 pilgrims dead in Saudi bus crash.” bdnews24.com, March 28, 2023.
https://bdnews24.com/bangladesh/zj5lcbkjwo

Bowen, Wayne H. 2008. The History of Saudi Arabia. Westport, Connecticut: Greenwood Press.

Crabben, Jan van der. 2011. “Levant.” World History Encyclopedia. Last modified April 28, 2011. https://www.worldhistory.org/levant/.

Fantappie, Maria and Nasr, Vali. 2023. “A New Order in the Middle East?.” Foreign Affairs, March 22, 2023. https://www.foreignaffairs.com/china/iran-saudi-arabia-middle-east-relations.

Harper, Robert A. 2007. Saudi Arabia. 2nd ed. New York: Chelsea House.

Hoyland, Robert G.. 2014. In God’s Path: the Arab Conquests and the Creation of an Islamic Empire. Oxford: Oxford University Press.

Khan, Syed Muhammad. 2019a. “Prophet Muhammad.” World History Encyclopedia. Last modified December 02, 2019. https://www.worldhistory.org/Prophet_Muhammad/.
— 2019b. “Islam.” World History Encyclopedia. Last modified November 25, 2019. https://www.worldhistory.org/islam/.
— 2020. “Rashidun Caliphate.” World History Encyclopedia. Last modified January 10, 2020. https://www.worldhistory.org/Rashidun_Caliphate/.
— 2020b. “Ridda Wars.” World History Encyclopedia. Last modified June 05, 2020. https://www.worldhistory.org/Ridda_Wars/.

Louër, Laurence. 2020. Sunnis and Shiʻa: A Political History of Discord. Translated by Ethan Rundell. Princeton & Oxford: Princeton University Press.

Mackintosh-Smith, Tim. 2019. Arabs: A 3000-year History of People, Tribes, and Empires. London: Yale University Press.

Mark, Joshua J.. 2018. “Fertile Crescent.” World History Encyclopedia. Last modified March 28, 2018. https://www.worldhistory.org/Fertile_Crescent/.

McHugo, John. 2018. A Concise History of Sunnis & Shi‘is. Washington, DC: Georgetown University Press.

The National Assembly Party (NAAS). 2022. “Declaration of the National Assembly Party – NAAS.” Accessed August 22, 2022.
https://the-naas.com/en/statement

Sardar, Ziauddin. 2017. Mecca: The Sacred City. Paperback ed. London: Bloomsbury.

Wynbrandt, James. 2010. A Brief History of Saudi Arabia. 2nd ed. New York: Facts on File.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি