Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

পূর্বসাল

৩০০০-২০০০ বিভিন্ন মেসোপটেমীয় সাম্রাজ্যের সামরিক ও বাণিজ্যিক তৎপরতার সাথে নানানভাবে জড়িয়ে পড়ছে।

২৩০০ কুয়েত আজকের দিনের বাহরাইনের দিলমুন সভ্যতার অংশ।

২২০০-১৮০০ দিলমুন সভ্যতার মানুষেরা ফাইলাকা দ্বীপে বসতিস্থাপন করলেন।

৬০০-৩০০ কুয়েতের ফাইলাকা* দ্বীপে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করল গ্রিকরা।

* গ্রিকদের কাছে দ্বীপটা ইকারোস নামে পরিচিত ছিল।

২৫০ পারস্য উপসাগর এসময় পার্থীয়দের দ্বারা শাসিত হচ্ছে।

সাল

সপ্তম শতাব্দী আরবদের ইরান জয়।

১৬১৩ কুয়েতে অভিবাসীদের মাছ চাষকেন্দ্রিক গ্রাম প্রতিষ্ঠিত হল।

১৬৫০ অনাবৃষ্টির কারণে মধ্য আরবের নজদ থেকে বেদুঈন পরিবারগুলো অভিবাসীতে পরিণত হল। এরা পরবর্তীকালে বনি উতুব নামে পরিচিত হবে। এই অভিবাসীদের অন্যতম আল সাবাহ পরিবার।

১৬৭২ কুয়েত শহর প্রতিষ্ঠা করা হল।

১৬৭২-৮০ বনি খালিদ গোত্রের শেখ বারাক বিন ঘুরাইফ কুয়েতে একটা ছোট্ট কেল্লা তৈরি করলেন।

১৭১০ কুয়েতে বসতিস্থাপন করল বনি উতুব, যার অংশ আল সাবাহ পরিবার।

১৭১৬ কুয়েত শহরে প্রভাবশালী আল সাবাহ পরিবারের আগমন ঘটল।

১৭৫২/৫৬ কুয়েতের প্রথম শেখ হলেন আল সাবাহ পরিবারের সাবাহ বিন জাবের।* প্রতিষ্ঠান করলেন আল সাবাহ রাজপরিবার।** কুয়েত ওসমানি সুলতানদের করদ রাজ্যে পরিণত হল।

* প্রথম সাবাহ নামে পরিচিত।

* আড়াইশো বছর ধরে আল সাবাহই কুয়েতের শাসক পরিবার।

১৭৫২/৫৬-৬২ শেখ প্রথম সাবাহয়ের রাজত্বকাল।

১৭৬২-১৮১৪ শেখ প্রথম আবদুল্লার রাজত্বকাল।

১৭৬৬ আল খলিফা আর আল জালাহিমারা কুয়েত ছেড়ে যেতে শুরু করায় দেশটির ওপর আল সাবাহের নিয়ন্ত্রণ জোরদার হল।

১৭৭৩-৭৫ কুয়েতে মহামারী দেখা দিল।

১৭৭৫ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সুবাদে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাথে কুয়েতের প্রথম পরিচয় ঘটল।

১৭৮৩ একটি নৌ সমরে বনি কাব গোত্রকে পরাস্ত করল কুয়েতের নৌবহর।

১৭৯৩-৯৭ ওহাবিরা কুয়েতে অনুপ্রবেশের কয়েকটি অসফল চেষ্টা চালাল।

১৮১৪-৫৯ শেখ প্রথম জাবেরের রাজত্বকাল।

১৮৫৯-৬৬ শেখ দ্বিতীয় সাবাহয়ের রাজত্বকাল।

১৮৬৬-৯২ শেখ দ্বিতীয় আবদুল্লার রাজত্বকাল।

১৮৯২-৯৬ শেখ মোহামেদের রাজত্বকাল।*

* স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, আততায়ীদের হাতে খুন হন।

১৮৯৬-১৯১৫ শেখ মোবারকের রাজত্বকাল।*

* ‘মহান মোবারক’ নামে পরিচিত, আততায়ী পাঠিয়ে নিজের ভাইকে খুন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি।

১৮৯৭ কুয়েতের প্রাদেশিক উপপ্রশাসক হিসেবে মহান মোবারককে স্বীকৃতিপ্রদান করল ওসমানি সুলতানশাহি।

১৮৯৯ জানুয়ারি ২৩: মহান মোবারক ও গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে একটি মেমোরান্ডাম সই হল, যাতে কুয়েতের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়া হল।

১৯১৩ ইঙ্গ-ওসমানি চুক্তি। কুয়েত আর ইরাকের মধ্যকার সীমান্ত আঁকা হল।

১৯১৪ ছোট পানি বিশুদ্ধকরণ চুল্লি স্থাপন করা হল।

১৯১৪-১৮ ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।’*

* ওসমানি সুলতানশাহির কাছ থেকে কুয়েতের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিল গ্রেট ব্রিটেন।

১৯১৫-১৭ শেখ জাবেরের রাজত্বকাল।

১৯১৬ ওসমানি সুলতানশাহির বিরুদ্ধে আরবদের মহাবিদ্রোহ।

১৯১৭-২১ শেখ সেলিমের রাজত্বকাল।

১৯২০ কুয়েতে ইখওয়ানের অনুপ্রবেশ এবং জাহরার সময়।

১৯২১-৫০ শেখ আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ’য়ের রাজত্বকাল।

১৯২২ উকাইর প্রোটোকল, সৌদি আরবের সাথে নিরপেক্ষ জোন প্রতিষ্ঠা করল কুয়েত।

১৯৩৪ তেল ছাড় লাভ করল কুয়েত তেল কোম্পানি। খননকার্য শুরু করল। বৃষ্টিতে কুয়েতের বহু মাটির ঘর ধ্বংস হয়ে গেল।

১৯৩৬ কুয়েতে তেল খননকার্য শুরু করল অ্যাংলো-পার্সিয়ান অয়েল কোম্পানি (আপোক)।

১৯৩৮ সরকারে রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধিত্বের দাবিতে মজলিস আন্দোলন শুরু।

১৯৩৯-৪৫ ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ’।

১৯৪৬ প্রথমবারের মত বাণিজ্যিক অপরিশোধিত তেল জাহাজে করে রফতানি করল কুয়েত।

১৯৫০-৬৫ শেখ তৃতীয় আবদুল্লাহ আল-সেলিম আল-সাবাহ’য়ের রাজত্বকাল।

১৯৬০ কুয়েত ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কোম্পানি (কেএনপিসি) প্রতিষ্ঠা করা হল।

১৯৬১ কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভলাপমেন্ট (কেএফএইড) প্রতিষ্ঠা করা হল। জুন ১৯: ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল কুয়েত। জুলাই ২০: ইরাকিদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে আরব লীগে যোগ দিল কুয়েত।

১৯৬২ নভেম্বর ১১: কুয়েতের প্রথম সংবিধান অনুসমর্থন করা হল।

১৯৬৩ মে ১৪: জাতিসংঘে যোগ দিল কুয়েত।

১৯৬৬ প্রতিষ্ঠিত হল কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯৭৬ কুয়েতে তেল শিল্পকে জাতীয়করণ করা হল।

১৯৭৭-২০০৬ শেখ তৃতীয় জাবেরের রাজত্বকাল।

১৯৮০ কুয়েত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (কেপিসি) প্রতিষ্ঠা করা হল।

১৯৮০-৮৮ ইরান ইরাক যুদ্ধ।*

* এই যুদ্ধে ইরাকের পক্ষে যোগ দিল কুয়েত।

১৯৮১ মে: পারস্য উপসাগরীয় ৬টি রাষ্ট্র (বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ও সৌদি আরব) নিয়ে গঠিত হল গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)।

১৯৮২ সৌক আল মানাখ স্টক মার্কেট ক্রাশ করল।

১৯৯০ আগস্ট ২: সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন ইরাক কুয়েতে হামলা চালাল।* প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ শুরু। সৌদি আরবে নির্বাসিত হলেন আমির তৃতীয় জাবের। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশন নং ৬৬০ কুয়েত থেকে অনতিবিলম্বে ইরাকি সেনা প্রত্যাহারের ডাক দিল। ইরাকি হামলা প্রতিহত করার জন্য/উছিলায় সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হল। অপারেশন ডেজার্ট শিল্ডের সূচনা। আগস্ট ৮: কুয়েতকে, ইরাকিরা যাকে কাজিমা বলত, আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাকের ১৯তম প্রদেশ করে নেয়া হল।

প্রকাশিত হল জিল ক্রিস্টালের অয়েল অ্যান্ড পলিটিকস ইন দ্য গালফ: রুলার্স অ্যান্ড মার্চেন্টস ইন কুয়েত অ্যান্ড কাতার

১৯৯১ জানুয়ারি ১৭: যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের ‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’ শুরু। ফেব্রুয়ারি ২৭: কুয়েত ছাড়ল ইরাক। মার্চ ১৪: কুয়েতে অভ্যন্তরীণ সামরিক আইন জারি করা হল। নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে আসলেন দ্বিতীয় জাবের। অক্টোবর: যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ১০ বছর মেয়াদী নিরাপত্তা চুক্তি সই করল কুয়েত।

১৯৯২ প্রকাশিত হল জিল ক্রিস্টালের কুয়েত: দ্য ট্রান্সফরমেশন অফ অ্যান অয়েল স্টেট

২০০৬ জানুয়ারি ১৫-২৪: শেখ চতুর্থ সাদ আল-আবদুল্লাহ আল-সেলিমের রাজত্বকাল।*

* তিনি মাত্র ৯ দিনের জন্য আমির ছিলেন।

এপ্রিল ৪: কুয়েতি নারীরা প্রথমবারের মত পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ পেল।

প্রকাশিত হল লরি প্লতকিন বোঘার্তের কুয়েত অ্যামিড ওয়ার, পীস, অ্যান্ড রেভল্যুশন: ১৯৭৯-১৯৯১ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস

২০০৬-২০ শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ’য়ের রাজত্বকাল।

২০১৩ প্রকাশিত হল ক্রিস্টোফার এম. ডেভিডসনের আফটার দ্য শেখস: দ্য কামিং কলাপস অফ দ্য গালফ মোনার্কিজ

২০১৫ প্রকাশিত হল লিসা উরকেভিচের মিউজিক অ্যান্ড ট্র্যাডিশনস অফ দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা: সৌদি অ্যারাবিয়া, কুয়েত, বাহরাইন, অ্যান্ড কাতার

২০২০ প্রকাশিত হল রিভকা আজুলে’র কুয়েত অ্যান্ড আল-সাবাহ: ট্রাইবাল পলিটিকস অ্যান্ড পাওয়ার ইন অ্যান অয়েল স্টেট

২০২০-বর্তমান শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ’য়ের রাজত্বকাল।

তথ্যসূত্র

Casey, Michael S.. 2007. The History of Kuwait. Westport, Connecticut: Greenwood Press.

Isiorho, Solomon A. 2002. Kuwait. Philadelphia: Chelsea House.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি