Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

সাল

৩০০০ আরাওয়াক আদিবাসীদের পূর্বপুরুষরা হিসপানিওলা দ্বীপে বসতিস্থাপন করল।

১৪৯২ বর্তমান ক্যারিবীয় অঞ্চলের যেখানটায় হাইতি ও দমিনিকান প্রজাতন্ত্র অবস্থিত, সেখানে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আগমন।*

* তিনি দ্বীপটির নাম রাখেন হিসপানিওলা: ‘ছোট স্পেন।

১৪৯৬ পশ্চিম গোলার্ধে প্রথম ইওরোপীয় বসতিস্থাপন করল স্পেন। বার্থালোমিউ কলম্বাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল সাঁ দমিনগো। দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাজধানী।

১৫০৫ হিসপানিওলায় দাস হিসেবে প্রথম আফ্রিকানদের আগমন ঘটল।

১৫০৮ স্পেনীয়রা আনুষ্ঠানিকভাবে আফ্রিকান দাস বাণিজ্য চালু করল।

১৫২৮ হিসপানিওলার প্রথম রোমক ক্যাথলিক বিশপকে নিয়োগ দেয়া হল।

১৬২৫ ফরাসিরা তোরতুগা দ্বীপ এবং হিসপানিওলার উত্তরপশ্চিম উপকূলে বসতিস্থাপন করল এবং তাদের উপনিবেশের নাম দিল সাঁ দমিনগো।

১৬৬৫ ফরাসিরা হাইতির উত্তর উপকূলে পোর্তে-দ্য-পিক্সে একটি বসতিস্থাপন করল।

১৬৭০ সাঁ দমিনগোতে ফরাসিদের অনুমোদন লাভ করল আফ্রিকান দাস বাণিজ্য।

১৬৯৭ ‘রিজউইকের চুক্তি’, হিসপানিওলার পশ্চিম অংশ ফ্রান্সের দখলে চলে গেল। এই পশ্চিম হিসপানিওলাই হচ্ছে আজকের হাইতি রাষ্ট্র। হিসপানিওলার পূর্ব অংশ, বর্তমান দমিনিকান প্রজাতন্ত্র, স্পেনের হাতে রয়ে গেল।

১৭৪৯ পোর্তে-অউ-প্রিন্স প্রতিষ্ঠা করা হল এবং সাঁ দমিনগোর রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হল।

১৭৫২ সাঁ দমিনগোর উত্তরাঞ্চলে দাস বিদ্রোহ শুরু হল।

১৭৯০-এর দশক স্পেনীয় ও ফরাসিদের বিরুদ্ধে সশস্ত্রভাবে লড়ছেন আফ্রিকানরা।

১৭৯৩ ফ্রান্সের অনুমোদনের তোয়াক্কা না করেই উত্তর সাঁ দমিনগোতে দাসত্বের বিলোপসাধন করা হল।

১৭৯৪ ফ্রান্সের জাতীয় কনভেনশনে সকল ফরাসি উপনিবেশে দাসত্বের বিলোপসাধনের ঘোষণা দেয়া হল।

১৮০১ সাবেক কালো দাস ও বিপ্লবী তুসাইন লভেরতুঁর সাঁ দমিনগো শহর দখল করে নিলেন। তিনি সকল দাসের মুক্তি ঘোষণা করলেন এবং একটি সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি ১০-সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সংসদ স্থাপন করলেন। এই সংবিধান লভেরতুঁরকে আজীবন গভর্নর জেনারেল বলে স্বীকৃতি দিল।

১৮০২ ফরাসিদের সাঁ দমিনগো আক্রমণ ও লভেরতুঁরের আত্মসমর্পণ।

১৮০৩ এক ফরাসি কারাগারে মৃত্যুবরণ করলেন তুসাইন লভেরতুঁর।

১৮০৪ জানুয়ারি ১: ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল হাইতি। নিজেকে নবগঠিত প্রজাতন্ত্রটির সম্রাট ঘোষণা করলেন সাবেক কালো দাস ও বিপ্লবী জাঁ-জ্যাক দেসালিন। পোর্তে-অউ-প্রিন্সকে হাইতির রাজধানী করা হল।

১৮০৬ আততায়ীদের হাতে খুন হয়ে গেলেন জাঁ-জ্যাক দেসালিন। হাইতিতে দুই ভাগে ভাগ করা হল। উত্তরাঞ্চল কালোদের নিয়ন্ত্রণে থাকল আর দক্ষিণাঞ্চল মুলাটোদের নিয়ন্ত্রণে।*

* মুলাটো বলতে সেই মানুষদেরকে বোঝায় যারা শ্বেতাঙ্গ ইওরোপীয় বসতিস্থাপনকারী ও স্থানীয় কালোদের বংশধর।

১৮১৮-৪৩ জাঁ-পিয়ের বোয়েরের রাজত্বকাল। তিনি হাইতির দুই অংশকে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ করেন। কিন্তু কালোদেরকে ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে রাখেন বোয়ের।

১৮২২ পুরো হিসপানিওলা দ্বীপের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেন হাইতি প্রজাতন্ত্রের আজীবন প্রেসিডেন্ট জাঁ-পিয়েরে বোয়ের।

১৮৪২ উত্তর হাইতিতে ভূমিকম্পে কাপ হাইতিয়েন নগরীর ধবংসসাধন।

১৮৪৪ হাইতি থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল দমিনিকান প্রজাতন্ত্র।

১৮৬২ হাইতিকে স্বীকৃতি প্রদান করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

১৯১২ দ্য হাইতিয়ান আমেরিকান সুগার কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হল।

১৯১৫ হাইতিতে প্রায় দুই দশকের মার্কিন দখলদারিত্বের সূচনা।

১৯২৯ হাইতি ও দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে একটি চুক্তি সই হল যা দুই দেশের মধ্যকার বর্তমান সীমান্তটি চিহ্নিত করল।

১৯৩৩ হাইতিতে প্রায় দুই দশকের মার্কিন দখলদারিত্বের অবসান।

১৯৩৭ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সেনাবাহিনীর হাতে সেই দেশটিতে অবস্থানরত ১৭-৩৫ হাজার হাইতিবাসী হত্যাযজ্ঞের শিকার হলেন।

১৯৩৮ প্রকাশিত হল সি. এল. আর. জেমসের দ্য ব্ল্যাক জ্যাকোবিনস: তুসাইন লভেরতুঁর অ্যান্ড দ্য সাঁ দমিনগো রেভল্যুশন

১৯৫৭ হাইতির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ফ্রাঁসোয়া ডুভালিয়ার, যিনি দেশটির রাজনীতিতে ‘পাপা ডক’ নামে পরিচিত।

১৯৬৪ হাইতির আজীবন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ফ্রাঁসোয়া ডুভালিয়ার, তন্তন মাকৌস মিলিশিয়ার সহায়তা নিয়ে একটি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেন।

১৯৭১ ‘পাপা ডকের’ মৃত্যু। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন তাঁর ছেলে জাঁ-ক্লদ ডুভালিয়ার। হাইতির রাজনীতিতে শেষোক্তজন ‘বেবি ডক’ নামে পরিচিত।

১৯৮৬ ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার মুখে হাইতি ছেড়ে পালিয়ে গেলেন ‘বেবি ডক’, ফ্রান্সে স্বেচ্ছা নির্বাসিত হলেন।

১৯৮৭ হাইতিতে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হল।

১৯৮৮ হাইতির প্রেসিডেন্ট হলেন লেসলি মানিগাত। কিন্তু ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল প্রসপার আভরিলের নেতৃত্বে সংঘটিত এক সামরিক ক্যুদেতায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন মানিগাত। একটি সেনানিয়ন্ত্রণ বেসামরিক সরকার গঠন করলেন আভরিল।

১৯৮৯ প্রকাশিত হল অ্যালেক্স দুপেঁর হাইতি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি: ক্লাস, রেস, অ্যান্ড আন্ডারডেভলাপমেন্ট সিন্স ১৭০০

১৯৯০ হাইতির ইতিহাসের প্রথম মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন জাঁ-বার্তান্দ আরিস্তিদ।

১৯৯১ ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল রাউল সেদ্রাসের নেতৃত্বে সংঘটিত এক সামরিক ক্যুদেতায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন আরিস্তিদ। হাইতির ওপর অবরোধ দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অর্গানাইজেশন অফ আমেরিকান স্টেটস (ওএএস)।

১৯৯৪ মার্কিন আগ্রাসনের হুমকিতে ক্ষমতা ছাড়ল হাইতির সেনাকর্তৃপক্ষ। হাইতিতে আবার বেসামরিক শাসন চালু করা হল। ক্ষমতায় ফিরলেন আরিস্তিদ।

১৯৯৫ হাইতির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রেনে প্রেভাল।

২০০০ হাইতি ছেড়ে গেল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর শেষতমটি। দ্বিতীয় মেয়াদে হাইতির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আরিস্তিদ। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ।

২০০২ ক্যারিকম বাণিজ্য ব্লকের পূর্ণ সদস্যপদ পেল হাইতি।

২০০৩ হাইতিতে ভুডুকে একটি ধর্মের মর্যাদা দেয়া হল।*

* কালো দাসদের লোকায়ত বিশ্বাস, আদিবাসী আমেরিকানদের লোকায়ত বিশ্বাস, আর রোমক ক্যাথলিক খ্রিস্টীয় মতবাদের একটি সিনক্রেটিক ধর্ম ভুডু।

২০০৪ জানুয়ারিতে হাইতির স্বাধীনতার ২০০ বছর পূর্তিতে আরিস্তিদের শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণঅভ্যুত্থান দেখা দিল। নির্বাসিত হলেন আরিস্তিদ, প্রতিষ্ঠিত হল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হারিকেন জিয়েনে উত্তর হাইতিতে ৩০০০ মানুষের মৃত্যু।

২০০৬ হাইতির দায়িত্ব বুঝে নিল প্রধানমন্ত্রী জাঁ-এদুয়ার্দ অ্যালেক্সিসের নেতৃত্বাধীন একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার।

২০০৮ হারিকেন হান্নায় হাইতিতে ৮০০০ মানুষের মৃত্যু।

২০০৯ বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হাইতির মোট ঋণের ৮০ শতাংশ মকুব করে দিল। প্রকাশিত হল সুজান বাক-মোর্সের হেগেল, হাইতি, অ্যান্ড ইউনিভার্সাল হিস্ট্রি

২০১০ রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে হাইতিতে ২৩০,০০০ মানুষের মৃত্যু হল, ক্ষতিগ্রস্ত হলেন আরো ৩০০,০০০ মানুষ।

২০১১ নির্বাসন থেকে দেশে ফিরলেন ‘বেবি ডক’, তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতি চর্চা ও মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগ উঠল।

২০১৪ পোর্তে-অউ-প্রিন্সে নতুন করে সরকারবিরোধী আন্দোলন দানা বাঁধল।

২০১৬ হারিকেন ম্যাথিউ হাইতিতে কয়েকশো মানুষের মৃত্যু ঘটাল।

২০১৯ প্রকাশিত হল অ্যালেক্স দুপেঁর রিথিংকিং দ্য হাইতিয়ান রেভল্যুশন: স্লেভারি, ইন্ডিপেন্ডেন্স, অ্যান্ড দ্য স্ট্রাগল ফর রিকগনিশন

তথ্যসূত্র

BBC. “Haiti profile – Timeline.” BBC, February 11, 2019.
https://www.bbc.com/news/world-latin-america-19548814

Gritzner, Charles F. Haiti. New York: Chelsea House, 2011.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি